নেক আমল কাকে বলে
নেক আমল কাকে বলে জেনে নেই
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, ভাল কাজ করার নামই নেক আমল না।
Read more: Islamic history
এমনকি মসজিদ, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি তৈরি করার নাম নেক আমল না। ইসলামিক কাহিনী
স্বয়ং আল্লাহর রাসূল ﷺ এক মসজিদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে বলেছেন।
এর কারণ ছিল ঐ মসজিদ দীন ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
ভালো কাজ
ভাল কাজ করনেওয়ালার যদি ঈমান থাকে এবং ঐ ভাল কাজটা যদি সুন্নত তরীকায় করা হয় তবে ঐ ভাল কাজকে নেক আমল বলা হবে।
অর্থাৎ ঈমানদার ব্যক্তি সুন্নত তরীকায় কোন ভাল কাজ করলে তাকে নেক আমল বলা হবে।
ঘর থেকে বের হওয়া
একবার হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বললেন।
তাবলীগের মেহনতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া শিখেছে।
দীনের জন্য কাজ
দীনের মেহনত করার জন্য ঘর থেকে যে বের হতে হবে, এই মেহনত না থাকলে তা মানুষের বুঝে আসতো না।
আমাদের দায়িত্ব সময় লাগানো
এক ভাই হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম এর কাছে এসে বললো।
হযরত! ইদানীং তাবলীগে গিয়ে যে সময় দিচ্ছি তেমন কোন ফায়দা তো দেখি না।
গিয়ে লাভ কী ? মনে হয় অযথা সময় দিচ্ছি।
হযরত মাওলানা উত্তরে বললেন, তাবলীগে গেলে যে ফায়দা হয় তা কী দেখা যায় ?
এটা তো দেখার জিনিস না। আমাদের কাজ এই মেহনতের সাথে লেগে থাকা।
এই মেহনতের সাথে লেগে থাকলে ঈমানের তরক্কী হবেই। বাস! আর ফায়দা দেখার দরকার নাই।
তাকাব্বুরীর পরিণাম
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, আমরা প্রত্যেকেই তাকাব্বুরীর ডিব্বা।
কেউ যদি নেক আমল করার পর এইভাবে তাকাব্বুরী প্রকাশ করে যে সে অনেক নেক আমল করেছে।
তাহলে আল্লাহ তার আমল কবুল করবেন না, বরং ঐ ব্যক্তির নেক আমল আল্লাহর নিকট বেশী পছন্দনীয় যে নেক আমল করার পর এটা ভাবে যে।
আমার কোন আমলই আল্লাহর দরবারে পেশ করার মত না।
কুরআন ছাড়া মুসলমান
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম প্রায় সময়ই এই কথা বলেন।
চাল ছাড়া যেমন ভাত হয়না ঠিক তেমনি কুরআন ছাড়া মুসলমান হওয়া যায় না।
অথচ আমরা কুরআন থেকে গাফেল।
বলীর পাঠা
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, আমরা অনেক সময় দেখি কিছু লোক এমন আছে যারা বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত।
নেক আমল করা তো দূরের কথা তাদের অনেকের ঈমানও নাই।
আবার বাহ্যিক ভাবে তাদেরকে অনেক সুখী মনে হয়। তাদের সুখ দেখে আমাদের অনেকেই তাদের মতো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে।
আসলে তাদের সুখটা হলো ফাঁসির আসামীর মতো। ফাঁসির আসামীকে যেমন ফাঁসি দেয়ার আগে।
যা সে ইচ্ছা করে ঐ খাবার খেতে দেয়া হয় ঠিক তেমনি গুনাহগারকেও আল্লাহ গুনাহ করার পরেও এমন কিছু সুখ দিয়ে থাকেন।
তার গুনাহের শাস্তি তার জন্য অপেক্ষা করছে। এখন প্রশ্ন হলো কেউ কী ফাঁসির আসামীকে ভালো খাবার খেতে দেখে এই কথা বলবে যে, ইশ!
আমাকেও যদি ফাঁসি দেয়া হতো তাহলে আমিও মজার খাবার খেতে পারতাম।
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, হারদুই হুজুর রহ. বলতেন, এরা হলো বলীর পাঠা।
Read More:
ভূমিকা : লিখতে গিয়ে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে আমাকে ইমেইল এর মধ্যেমে জানিয়ে দিবেন!
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,