দীন কাকে বলে?
দীন নিয়ে কিছু কথা
হযরতওয়ালা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, অনেকের ধারনা লম্বা লম্বা যিকির করা, তাহাজ্জুদ পড়া। ইসলামিক কাহিনী
হজ্জ নিয়ে কিছু কথা
একশ বার হাজ্জ করা, বেশী বেশী নফল ইবাদাত করার নাম দীন। অথচ সত্যিকার অর্থে এর নাম দীন না।
More Info: Islamic story
দীন হলো নিজের পরিবারকে সুন্নত মোতাবেক চালানো, বান্দার হক আদায় করা, হযরতওয়ালা আরো বলেন।
নবীজীর সুন্নত কিতাব
নবীজীর সুন্নত কিতাব থেকে নিজের বিবি বাচ্চাদেরকে সুন্নতের শিক্ষা দেয়া এবং তাদেরকে প্রশ্ন করে করে পরীক্ষা নেয়া। ইনশাআল্লাহ ঘরে আজীব পরিবেশ তৈরি হবে।
খারাপ কথার উৎস
একবার এক ভাই হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুমকে বললো, হযরত, আমাদের মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায় কিছু লোকের কিতাব পড়ে, কথা শুনে।
কারণ তারা তাদের কিতাবে বয়ানে আলেম উলামাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
আলেম উলামাদের নিয়ে
আলেম উলামাদের ভুল হওয়াটা তো স্বাভাবিক, যদি আলেম উলামাদের কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভদ্র ভাষায় বলতে পারে।
হযরত মাওলানা শুধু এতটুকু বললেনঃ যে যা খাবে তার মুখ থেকে ঐ জিনিসেরই গন্ধ পাওয়া যায়, ভালো খেলে ভালো আর খারাপ খেলে খারাপ জিনিসের গন্ধতো বের হবেই।
ধূমপায়ীর জন্য নসীহত
কোন এক ভাই একবার জিজ্ঞাসা করলেন সিগারেট খাওয়া কী ? হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম উত্তর দিলেন,
“মাকরূহে তাহরিমী”। সাথে সাথে হযরত মাওলানা বললেন, কত অদ্ভুত আমরা যেই মুখ দিয়ে আল্লাহর পবিত্র কালাম কুরআন তিলাওয়াত করছি।
(নামাযে বা অন্যান্য সময়), আল্লার পবিত্র নামের যিকির করছি কিভাবে ঐ মুখ দিয়ে এই জাতীয় নাপাক জিনিস খাচ্ছি !!!
সুন্নতের স্বাদ
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, আমরা কত দামী দামী মসলা ব্যবহার করে,
কত ভালো ভালো খাবার (বিরিয়ানি, পোলাও, গরুর গোশত, খাসির গোশত, মুরগীর গোশত, রেজালা ইত্যাদি) রান্না করি।
রান্নাতো হয়ে যাবে, যে কেউ ঐ রান্না দেখলে পোলাওকে পোলাও এবং গোশতকে গোশত বলবে।
কিন্তু বাজারের স্বল্প মূল্যের জিনিস (লবণ) যদি ঐ রান্না করা জিনিসে ব্যবহার না করা হয় তাহলে সম্পূর্ণ খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
লবণ ছাড়া ঐ খাবার কেউ খেতে চাইবে না। ঠিক তেমনি আমলের মধ্যে সুন্নতের অবস্থাও (লবণের) মত।
সুন্নত ছাড়া আমল বাহ্যিক নজরে আমল মনে হবে, কিন্তু স্বাদবিহীন থাকবে।
তাহাজ্জুদের মজা
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, ইশার নামাযের পর পরই যে কেউ চাইলে তাহাজ্জুদ নামায পড়তে পারবে।
শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়লে যেমন নেকী ঐরকম নেকী সে পাবে, পার্থক্য হলো আখের (গেন্ডারীর) আগা-গোড়ার মত।
আখের আগাতে যেমন কম মিষ্টি থাকে আর গোড়ার দিকে বেশী মিষ্টি ঠিক তেমনি প্রথম রাতে তাহাজ্জুদ পড়া আখের আগার মত স্বাদ আর শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া গোড়ার মত স্বাদ হবে।
ঈমান কারো পৈতৃক সম্পদ নয়
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, ঈমান কারো বাহু বলে অর্জিত জিনিস নয়।
আল্লাহ তা‘আলার অপার মেহেরবাণী ও দয়ায় যাকে ইচ্ছা দান করেন, যাকে ইচ্ছা বঞ্জিত করেন। তাই ঈমান পেয়ে শোকর আদায় করতে হবে।
এবং ভয়ের সাথে থাকতে হবে যেন কোন নাফরমানীর দরুন ঈমান ছিনিয়ে না নেন।
ভূমিকা : লিখতে গিয়ে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে আমাকে ইমেইল এর মধ্যেমে জানিয়ে দিবেন! নতুন নতুন কাহিনী পেতে প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন,
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,