ঈমানের সাথে আমল প্রয়োজন
সহিহ্ আমল নিয়ে কিছু কথা
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, নাজাত পাওয়ার জন্য ঈমানী পরীক্ষায় ১০০ নাম্বার পেতে হবে।
যদি ৯৯ ও পায় তবুও নাজাত পাওয়া যাবে না, যখন ঈমানে দুর্বলতা থাকবে তখন আমলের হিসাব হবে।
Read more: যাকাত আদায়ের নিয়ম
কিন্তু আমাদের ঈমানতো ১০০ নাম্বার পাওয়ার যোগ্য নয়, তাই নাজাতের জন্য ঈমানের সাথে আমলও লাগবে।
পেরেশান মুক্ত থাকা
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, যে ব্যক্তি তাকদীরের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখে সে কখনো পেরেশান হয় না।
আরেকবার বললেন, যে আগে থেকেই কোন বিষয়ের উপর আশা করে না থাকে, তো সে কখনো কষ্ট পায় না।
আল্লাহ তা‘আলা নিরাকার নন বরং আমাদের অজানা
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, অনেকে বলে যে, আল্লাহ নিরাকার এটি একটি গলত কথা।
সহীহ কথা হলো আল্লাহর আকার আকৃতি আছে তবে তা কেমন সেটা আমাদের জানা নেই।
ওহী অস্বীকার করার নামান্তর
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, অনেক বিদ‘আতী লোক আছে তাদের আকিদা হলো।
হুজুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গায়েব জাননেওয়ালা মনে করা মানে ওহীকে অস্বীকার করা।
যখন তিনি গায়েব জানেন তাহলে তো তাঁর নিকট কোন কিছু অজ্ঞাত নেই।
এবং তার কাছে ওহী পাঠানোরও কোন প্রয়োজন নেই, ওহীর মাধ্যমে গায়েবের সংবাদ এমন ব্যক্তিকে জানান হয় যে পূর্ব থেকে জানে না।
আর যদি কেউ ওহীকেই অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমানই থাকবে না।
অন্ধ ব্যক্তির নিআমত
একবার এক অন্ধ ছেলে (মাদরাসায় খেদমতে নিয়োজিত)
হযরতের নিকট এসে দু‘আ চাইলে হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম তার জন্য দু‘আ করে দিলেন।
এবং বললেন অন্ধদের স্মরণ শক্তি ভালো হয়, কারণ আমাদের যাদের চোখ আছে তারা দুনিয়ার হাজারো রকমের জিনিস দেখে আমাদের স্মৃতির মেমোরী ভরে ফেলি।
আবার চোখের হেফাজত না করে গুনাহ করি যা অন্ধরা করতে পারে না।
এক জমানায় এমন ছিলো অন্ধ মাত্রই কুরআনে হাফেজ ছিল।
টেলিভিশন দেখলে ঘুম আসে না
হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন ।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা বয়ানে বা তালীমে বসলে ঘুম আসে।
এর কারণ হলো তখন আল্লাহর রহমত নাযিল হয় এবং ফেরেশতারা আমাদেরকে ঘিরে রাখে।
এই জন্য একটা আরামের পরিবেশ কায়েম হয়। আর তাই ঘুম আসে।
কিন্তু যারা টেলিভিশন দেখে তাদের কেন ঘুম আসে না ?
এর কারণ হলো তখন জাহান্নামের গরম বাতাস তাদের দিকে বইতে থাকে।
একটা অশান্তির পরিবেশ কায়েম হয়। আর তাই ঘুম আসে না।
Read more:
ভূমিকা : লিখতে গিয়ে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে আমাকে ইমেইল এর মধ্যেমে জানিয়ে দিবেন !
প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন,
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ