সুহবাতের উদাহরণ - Islamic History Bangla Site - Islamic Life

সুহবাতের উদাহরণ

ইসলামিক কাহিনী,ইসলামিক পিকচার,ইসলামিক ফটো

সুহবাতের কাহিনী

হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, সুহবাতের সাথে বয়ানের কোন সম্পর্ক নাই। 


বয়ান এক জিনিস সুহবাত আরেক জিনিস। তবে হ্যাঁ, যদি বয়ান এবং সুহবাত একসাথে হয় তো আরো ভালো।

ফুলে কাহিনী 

যেমনঃ ফুলের সুহবাতে যে যায় সে তো সুঘ্রাণ পেয়েই যায়। ফুল থেকে সুঘ্রাণ নেয়ার জন্য কেউ ফুলের বয়ান শুনার অপেক্ষায় থাকে না। ইসলামিক জীবনী


হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, হারদুই হুজুর রহ. বলতেন, সূর্যের কথা।


যে সূর্যের সুহবাতে যায় সে আলো পেয়েই যায়। সূর্যের বয়ান শুনার অপেক্ষায় থাকে না।


সুহবাতের ফায়দা


এক ভাই হযরতের কাছে এসে বললো, হযরত আল্লাহ ওয়ালাদের সুহবাতে যাচ্ছি কিন্তু ফায়দা তো হচ্ছে না।


হযরতওয়ালা বললেন, সুহবাতের ফায়দা বুঝা যায় না। একটা লোক যখন আল্লাহওয়ালাদের সুহবাতে থাকে।


তখন আল্লাহ তাকে গুনাহ ছাড়ার শক্তি পয়দা করে দেন।


সুন্নতের দ্বারা নিরাপত্তা


হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, যখন কেউ সুন্নতের উপর আমল করে,


 তখন আল্লাহ তাকে এমনভাবে গুনাহ থেকে হেফাজত করেন যেমন মা তার সন্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন।


মা যেমন তার ছোট্ট ছেলের কথা ভেবে ঘরের ধারালো দা-বঠি, ছুরি ইত্যাদি দুরে সরিয়ে রাখেন।


ঠিক তেমনি আল্লাহ তা‘আলাও সুন্নতের উপর চলনেওয়ালার জন্য গুনাহকে দূরে রাখেন।


সন্তান যদি ধারালো দা-বঠি, ছুরি দেখে ফেলে তো সে ওটা নিতে চায়, মা দেয় না।


মা যেন না দেখতে পায় তাই ছেলে লুকিয়ে ঐ ছুরি হাতিয়ে নেয়।


কিন্তু মা দেখতে পাওয়া মাত্রই তা জোর করে ছেলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।


আর যদি ছেলে মায়ের দেখার আগেই ছুরি দিয়ে হাত-পা কেটে ফেলে, মা দেখা মাত্রই তাকে সুস্থ করার জন্য মলম, ঔষধ ইত্যাদির ব্যবস্থা করেন।


ঠিক তেমনি আল্লাহ তা‘আলাও সুন্নতের উপর চলনেওয়ালাকে জোর করে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। 


তিনি গুনাহ করতে চাইলেও আল্লাহ দেন না।


আল্লাহ না করেন কেউ যদি কোন গুনাহ করেও ফেলে, আল্লাহ তাকে তাওবা করার তাওফীক দিয়ে গুনাহমুক্ত করেন।

ইংরেজী ভাষার ব্যবহার

আমরা অনেকেই ইংরেজী শিখা, ইংরেজীতে কথা বলতে পারা বা বাংলায় কথা বলার সময় দু’একটা ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করাটাকে খুব সম্মানের এবং স্মার্ট মনে করি।


এ বিষয়ে হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন,


আমাদের আসলে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করা উচিৎ টয়লেট পেপারের মত।

যখন যতটুকু প্রয়োজন তখন ততটুকু ব্যবহার করা। বাংলায় কথা বলতে গিয়ে অকারণে ‘বাট’, ‘হোয়াট’ ব্যবহার না করাই শ্রেয়।


চাকরী ব্যবসার নিয়ত


হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, চাকরী।


ব্যবসা ইত্যাদি করার আসল উদ্দেশ্য এই না যে এখান থেকে আমার যে কামাই আসবে তা দিয়ে ঘর-সংসার চলবে।


বরং চাকরী, ব্যবসা করা হলো একটা ইবাদাত। আর আমার ঘর-সংসার চালাবেন তো আল্লাহ। 


আমি চাকরী, ব্যবসা না করলেও আল্লাহ আমার ঘর-সংসার চালাবেন।


আল্লাহর হুকুম মনে করে চাকরি ব্যবসা করলে তখন তা ইবাদাত হবে।


Read more:

আব্দুল মুত্ত্বালিবের স্বপ্ন

যাকাত আদায়ের নিয়ম

ভূমিকা: লিখতে গিয়ে যদি ভুল হয়ে থাকে,

তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।

কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে ইমেইল এর মাধ্যমে জানাবেন!

নতুন নতুন কাহিনী পেতে প্রতি দিন এই

ওয়েবসাইট ভিজিট করুন!

ধন্যবাদ

Please Do,not Share Any Spam Links

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post