অগোছালো অবস্থায় আমল শুরু - Islamic History Bangla - ইসলামিক কাহিনী

অগোছালো অবস্থায় আমল শুরু 

Islamic story Bangla - ইসলামিক গল্প,বাংলা,বাংলা হাদিস

ইসলামিক জীবনী

হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, নেক আমল করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই চিন্তা করি। ইসলামিক কাহিনী


যে আমাদের জীবন চলার পথে যে টুকিটাকি ঝামেলার কাজ থাকে তা গুছিয়ে নিয়ে তারপর শুরু করবো, কিন্তু এমন করা ঠিক না। ইসলামিক আমল


হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি অগোছালো অবস্থায় আমল চালু করে দেয়, আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তার সমস্ত কাজকে গুছিয়ে দেন।

গুনাহগারের শান্তির আশা

হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, মানুষ শান্তি এবং আরামের আশায় ঘরে এয়ারকন্ডিশন লাগায়।


কিন্তু কেউ যদি এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে ঘরের দরজা জানালা খুলে রাখে তাহলে কী তার ঘর ঠাণ্ডা হবে? শান্তি বা আরাম কী সে পাবে? 


কক্ষনো না। পাবে তো না আবার তার এয়ারকন্ডিশন মেশিনও নষ্ট হয়ে যাবে, ঠিক তেমনি কেউ যদি শান্তি বা আরামের আশায় নেক আমল করে।


 কিন্তু গুনাহের দরজা খুলে রাখে সেও কখনো শান্তি বা আরাম পাবে না, গুনাহের তাছিরে তার নেক আমল করার তৌফিকও কমতে থাকবে।

আল্লাহর স্মরণের বাহানা

একবার এক ভাই হযরতের সাথে গাড়িতে সফর করছিল, পথে অল্প সময়ের জন্য ইস্তেন্জার জরুরতে নামতে হলো।

জরুরত সেরে ঐ ভাই যখন আবার গাড়িতে উঠলো, তখন হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুমকে জিজ্ঞেস করলো যে আবার যানবাহনের দু‘আ পড়তে হবে কী না ?

হযরত মাওলানা উত্তর দিলেন আমাদের উচিৎ আল্লাহর যিকির বা আল্লাহর স্মরণ বেশী বেশী কিভাবে করা যায় এর জন্য বাহানা বের করা,

লেনদেন পরিশুদ্ধ রাখতে হবে

হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, আমরা অনেকেই হিসাব করার বা লেনদেন করার ক্ষেত্রে মনে মনে কাজ করি,

 (যেমনঃ আমি ক এর নিকট পাই ২০০ টাকা, আমার কাছে খ পায় ৪০০ টাকা, আবার ক পায় খ এর কাছে ৫০০ টাকা)

আমরা একজনের সাথে আরেক জনের টাকা কাটাকাটি করে হিসাব করি, এই নিয়মটা ঠিক না।

এতে অধিকাংশ সময়ই ঝামেলা হয়, বরং উচিৎ হলো যার যার পাওনা সে সে পরিশোধ করবে,এতে লেনদেন পরিষ্কার থাকে।

ইসলাম ও ঈমানের আরকান

হযরত মাওলানা মুফতী সাহেব হুজুর দামাত বারাকাতুহুম বলেন, নামাযের যেমন আরকান আছে, নামাযের ফরজ।


তেমনি ইসলাম এবং ঈমানের আরকান আছে, ইসলামের আরকান হলো কালেমা শাহাদাৎ পড়া অর্থাৎ ইসলাম অস্বীকারকারীদের নিকট গিয়ে ইসলামের সাক্ষী দেয়া।


সাক্ষী দেয়ার আসল অর্থ হলো দাওয়াত, আমাদের মধ্যে ৯৯ ভাগ লোকই জানে না যে ইসলামের সাক্ষী দেয়ার মানে দাওয়াত।

আর ঈমানের আরকান হলো সাত বিষয়ের উপর ঈমান আনা।

ভূমিকা:

লিখতে গিয়ে যদি ভুল হয়ে থাকে,

তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।

কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে ইমেইল এর মাধ্যমে জানাবেন!

নতুন নতুন কাহিনী পেতে প্রতি দিন এই

ওয়েবসাইট ভিজিট করুন!

ধন্যবাদ

Please Do,not Share Any Spam Links

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post