হযরত ওসমান (রাঃ) জীবন কাহিনী
Hazrat Osman (R:) Jibon Kahini
উসমান ইবন আফ্ফান (عثمان بن عفان) (c. ৫৮0 - জুন ১৭ ৬৫৬) ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলীফা। ইসলামিক কাহিনী
৬৪৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। খলিফা হিসেবে তিনি চারজন খুলাফায়ে রাশিদুনের একজন।
উসমান আস-সাবিকুনাল আওয়ালুনের (প্রথম পর্বে ইসলাম গ্রহণকারী) অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও তিনি আশারায়ে মুবাশ্শারা'র একজন এবং সেই ৬ জন সাহাবীর মধ্যে অন্যতম যাদের উপর মুহাম্মদ (সা:) আমরণ সন্তুষ্ট ছিলেন । Islamic History
১। তাঁকে সাধারণত: হযরত উসমান (রা:) হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
জন্ম
উসমানের জন্ম সন ও তারিখ নিয়ে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে।
অধিকাংশের মতে তার জন্ম ৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ হস্তীসনের ছয় বছর পর।
২। এ হিসেবে তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে ছয় বছরের ছোট। অধিকাংশ বর্ণনামতেই তাঁর জন্ম সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে।
অবশ্য অনেকের বর্ণনামতে তাঁর জন্ম তায়েফ নগরীতে বলা হয়েছে।
পরিবার ও বংশ
উসমানের কুনিয়া আবু আমর, আবু আবদিল্লাহ, আবু লায়লা।
তাঁর উপাধি যুন-নূরাইন এবং যূল-হিজরাতাইন। তার পিতা আফ্ফান এবং মাতা আরওরা বিনতু কুরাইয।
তিনি কুরাইশ বংশের উমাইয়্যা শাখার সন্তান ছিলেন।
তার উর্ধ্ব পুরুষ আবদে মান্নাফে গিয়ে মুহাম্মদের বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। তার নানী বায়দা বিনতু আবদিল মুত্তালিব ছিলেন মুহাম্মদের ফুফু।
ইসলাম
ইসলাম গ্রহণের পর মুহাম্মদ (সা:) তাঁর কন্যা রুকাইয়্যার সাথে তাঁর বিয়ে দেন।
হিজরী দ্বিতীয় সনে তাবুক যুদ্ধের পরপর মদিনায় রুকাইয়্যা মারা যায়।
এরপর নবী তাঁর দ্বিতীয় কন্যা উম্মু কুলসুমের সাথে তাঁর বিয়ে দেন।
এ কারণেই তিনি মুসলিমদের কাছে যুন-নূরাইন বা দুই জ্যোতির অধিকারী হিসেবে খ্যাত।
ইমাম
তবে এ নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। যেমন ইমাম সুয়ূতি মনে করেন ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই ওসমানের সাথে রুকাইয়্যার বিয়ে হয়েছিল।
তবে অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা এই ধারণা পরিত্যাগ করেছেন। উসমান এবং রুকাইয়্যা ছিলেন প্রথম হিজরতকারী মুসলিম পরিবার।
তারা প্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন। সেখানে তাদের একটি ছেলে জন্ম নেয় যার নাম রাখা হয় আবদুল্লাহ ইবন উসমান ।
এরপর উসমানের কুনিয়া হয় ইবী আবদিল্লাহ। হিজরী ৪র্থ সনে আবদুল্লাহ মারা যায়।
তাবুক যুদ্ধের পরপর রুকাইয়্যা মারা যান। এরপর উসমানের সাথে উম্মু কুলসুমের বিয়ে হয় যদিও তাদের ঘরে কোন সন্তান আসেনি।
হিজরী নবম সনে উম্মু কুলসুমও মারা যান।তথ্যসূত্র প্রয়োজন। ইসলামিক জীবনী
প্রাথমিক জীবন
অন্যান্য অনেক সাহাবীর মতই ইসলাম গ্রহণের পূর্বে উসমানের জীবন সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায়নি।
জানা যায়, উসমান কুরাইশ বংশের অন্যতম বিখ্যাত কোষ্ঠীবিদ্যা বিশারদ ছিলেন। কুরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে তার অগাধ জ্ঞান ছিল।
ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তার এমন বিশেষ কোন অভ্যাস ছিলনা যা ইসলামী নীতিতে ঘৃণিত।
যৌবনকাল
যৌবনকালে তিনি অন্যান্য অভিজাত কুরাইশদের মত ব্যবসায় শুরু করেন।
মক্কা
ব্যবসায়ে তাঁর সাফল্য ছিল উল্লেযোগ্য। মক্কার সমাজে একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন বলেই তাঁর উপাধি হয়েছিল গনী যার অর্ধ ধনী।
ভূমিকা : লিখতে গিয়ে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবং কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে আমাকে ইমেইল এর মধ্যেমে জানিয়ে দিবেন!
প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন,
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন,
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ