রমজানের ফজিলত ও আমল - রমজান মাসে আমাদের করণীয় ও বর্জনীয় - islamic history bangla site

রোজার হাদিস ও মাসয়ালা,লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম,লাইলাতুল কদর,লাইলাতুল কদর কবে,লাইলাতুল কদরের নামাজ,লাইলাতুল কদর নামাজ,লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত,লাইলাতুল,কদর,নামাজ,নিয়ম,শবে কদরের দোয়া,শবে কদরের দোয়া বাংলা,লাইলাতুল কদরের দোয়া,শবে কদরের,দোয়া,শবে কদরের নামাজ,শবে কদর,Lailatul qadr bangla,lailatul qadr namaz niyat bangla,sobe kodor er namaz porar niom,lailatul kodor namaz,lailatul kodor er dua,,রোজার গুরুত্ব,রমজানে ফজিলত,ওয়াজ মাহফিল,রামাদান ওয়াজ,রমজানের ওয়াজ,bangla waz,new waz,waz,learn islam 24m,রমজান মাসের গরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইবাদত,রমজানের আগের দোয়া,বরকতময় দোয়া মিজানুর রহমান আজহারী,ইসলামিক ইমেইজ,ইসলামিক পিকচার,ফটো,image,photo,picture,রোজার নিয়ত,islamic shorts waz,ইতিকাফের ফজিলত,করণীয় ও বর্জনীয়,বাংলা ওয়াজ,বাংলা সেরা ওয়াজ,taheri new waz,নতুন ওয়াজ,ইতিকাফের কাকে বলে,ইতিকাফ কি,ইতিকাফ কত প্রকার ও কি কি,ইতিকাফের হাদিস,এতেকাফ এর ফজিলত,এতেকাফ কি,ইত্তিকাফ কি,What is itikaf,what is itikaf,how many types of itikaf and what is it,hadith of itikaf,virtue of itikaf,new waz itekaf,Itikaf,Ramadan itikaf,Ramadan new Waz,notonwaz,Bangla Waz,রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত করণীয় ও বর্জনীয় কি কি,জুম্মার বয়ান,রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত করণীয় কি কি,রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত করণীয় ও বর্জনীয় কি,রমজানের ফজিলত,রমজানের গুরুত্ব,রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত,ইফতারে এই ভুল করবেন না,সাহরি ও ইফতারের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ মাসালা,সাহরি ও ইফতারের ফজিলত,কিভাবে ইফতার করলে রোজার দ্বিগুন সওয়াব পাওয়া যায়,ইফতারি সময় যা করলে ডাবল সওয়াব,রামাদান কারিম,ওয়াজ মাহফিল,shab e barat,ahmadullah lecture,কঠিন ফজিলত,ইফতারের দোয়া,

রমজানের আমল ও ফজিলত


রমজান মাসে আমাদের করণীয় !

রমাদান মাস আল্লাহ তা‘আলা এক বিশেষ নিয়ামাত। সাওয়াব অর্জন করার মৌসুম, এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, রহমাত, বরকত ও নাজাতের মাস-রমাদান মাস। 


আলকুরআনে এসেছে: ‘‘রমাদান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে’’[সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]


রমাদান মাসের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেছেন: ‘‘রমাদান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন।


এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃংখলাবদ্ধ করে দেয়া হয়।


Read more: হযরত আয়শা (রাঃ) জীবনী 


এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল, সে বঞ্চিত হল (মহা কল্যাণ হতে)’’ [সুনান আত-তিরমিযি: ৬৮৩]


রমজানের মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল


এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারি। নিম্নে রমাদান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।


তবে এ আমলগুলো করার জন্য শর্ত হলো:


এক:- ইখলাস অর্থাৎ ‘‘একনিষ্ঠতার সাথে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যে আমল করা।


সুতরাং যে আমল হবে টাকা উপার্জনের জন্য, নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ও সুনাম-খ্যাতি অর্জনের জন্যে সে আমলে ইখলাস থাকবে না অর্থাৎ এসব ইবাদাত বা নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে না বরং তা ছোট শির্কে রূপান্তরিত হতে পারে। 


আল-কুরআনে এসেছে: “আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ‘ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে” [সূরা আল-বাইয়্যেনাহ : ৫]


দুই:- ইবাদাতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ। সহীহ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে সকল ইবাদাতের কথা উল্লেখ আছে সেগুলো পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে।


এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। কারণ, ইবাদাত হচ্ছে তাই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন।


কুরআনে এসেছে:‘এবং রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও’ [সূরা হাশর: ৭]


এ বিষয়ে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘‘যে এমন ইবাদত করল যাতে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই তা পরিত্যাজ্য হিসাবে গণ্য হবে’’। [সহীহ মুসলিম : ৪৫৯০]


৩০ রোজার দোয়া

১ম রোজার দোয়া

الیوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامی فیهِ صِیامَ الصّائِمینَ، وَقِیامی فیهِ قیامَ الْقائِمینَ، وَنَبِّهْنی فیهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلینَ، وَهَبْ لى جُرْمی فیهِ یا اِلـهَ الْعالَمینَ، وَاعْفُ عَنّی یا عافِیاً عَنْ الُْمجْرِمینَ

হে আল্লাহ ! আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর।


আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক !


এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।


২য় রোজার দোয়া

الیوم الثّانی : اَللّـهُمَّ قَرِّبْنی فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ سَخَطِکَ وَنَقِماتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِقِرآءَةِ ایـاتِکَ بِرَحْمَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ

হে আল্লাহ! তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও।


দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।


৩য় রোজার দোয়া

الیوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبیهَ، وَباعِدْنی فیهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْویهِ، وَاجْعَلْ لى نَصیباً مِنْ کُلِّ خَیْر تُنْزِلُ فیهِ، بِجُودِکَ یا اَجْوَدَ الاَْجْوَدینَ .

হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে।


এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।


৪র্থ রোজার দোয়া

الیوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّنی فیهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِکَ، وَاَذِقْنی فیهِ حَلاوَةَ ذِکْرِکَ، وَاَوْزِعْنی فیهِ لاَِداءِ شُکْرِکَ بِکَرَمِکَ، وَاحْفَظْنی فیهِ بِحِفْظِکَ وَسَتْرِکَ، یا اَبْصَرَ النّاظِرینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও।


তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর। হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।


৫ম রোজার দোয়া

الیوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرینَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنْ عِبادِکَ الصّالِحینَ اْلقانِتینَ، وَاجْعَلنی فیهِ مِنْ اَوْلِیائِکَ الْمُقَرَّبینَ، بِرَأْفَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ

হে আল্লাহ ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে।


হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান।


৬ষ্ঠ রোজার দোয়া

الیوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْنی فیهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِیَتِکَ، وَلاتَضْرِبْنی بِسِیاطِ نَقِمَتِکَ، وَزَحْزِحْنی فیهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِکَ، بِمَنِّکَ وَاَیادیکَ یا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبینَ

হে আল্লাহ ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্চিত ও অপদস্থ করোনা। তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিওনা ।


সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো। হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস ।


৭ম রোজার দোয়া

الیوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّی فِیهِ عَلى صِیامِهِ وَقِیامِهِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْنی فیهِ ذِکْرَکَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفیقِکَ یا هادِیَ الْمُضِلّینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর।


আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো । তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও। হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী ।


৮ম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ رَحْمَةَ الاَْیْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْکِرامِ، بِطَولِکَ یا مَلْجَاَ الاْمِلینَ

হে আল্লাহ ! তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও । হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল।


৯ম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لی فیهِ نَصیباً مِنْ رَحْمَتِکَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِنی فیهِ لِبَراهینِکَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِیَتی اِلى مَرْضاتِکَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِکَ یا اَمَلَ الْمُشْتاقینَ

হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে।


হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও ।


১০ম রোজার দোয়া

الیوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُتَوَکِّلینَ عَلَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْفائِزینَ لَدَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُقَرَّبینَ اِلَیْکَ، بِاِحْسانِکَ یا غایَةَ الطّالِبینَ

হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। 


তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও। হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য ।


১১তম রোজার দোয়া

الیوم الحادی عشر : اَللّـهُمَّ حَبِّبْ اِلَیَّ فیهِ الاِْحْسانَ، وَکَرِّهْ اِلَیَّ فیهِ الْفُسُوقَ وَالْعِصْیانَ، وَحَرِّمْ عَلَیَّ فیهِ السَّخَطَ وَالنّیرانَ بِعَوْنِکَ یا غِیاثَ الْمُسْتَغیثینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে সৎ কাজকে আমার কাছে প্রিয় করে দাও আর অন্যায় ও নাফরমানীকে অপছন্দনীয় কর ।


তোমার অনুগ্রহের উসিলায় আমার জন্য তোমার ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হারাম করে দাও । হে আবেদনকারীদের আবেদন শ্রবণকারী ।


১২ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّانی عشر : اَللّـهُمَّ زَیِّنّی فیهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفافِ، وَاسْتُرْنی فیهِ بِلِباسِ الْقُنُوعِ وَالْکَفافِ، وَاحْمِلْنی فیهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالاِْنْصافِ، وَآمِنّی فیهِ مِنْ کُلِّ ما اَخافُ، بِعِصْمَتِکَ یا عِصْمَةَ الْخائِفینَ

হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলঙ্কারে ভূষিত কর । অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে আবৃত্ত কর ।


ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত কর । তোমার পবিত্রতার উসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখ । হে খোদা ভীরুদের রক্ষাকারী ।


১৩ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّالث عشر : اَللّـهُمَّ طَهِّرْنی فیهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالاَْقْذارِ، وَصَبِّرْنی فیهِ عَلى کائِناتِ الاَْقْدارِ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِلتُّقى وَصُحْبَةِ الاَْبْرارِ، بِعَوْنِکَ یا قُرَّةَ عَیْنِ الْمَساکینَ

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর । যা কিছু তকদীর অনুযায়ী হয় তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর । 


তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দাও । হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা।


১৪ তম রোজার দোয়া

الیوم الرّابع عشر : اَللّـهُمَّ لا تُؤاخِذْنی فیهِ بِالْعَثَراتِ، وَاَقِلْنی فیهِ مِنَ الْخَطایا وَالْهَفَواتِ، وَلا تَجْعَلْنی فیهِ غَرَضاً لِلْبَلایا وَالاْفاتِ، بِعِزَّتِکَ یا عِزَّ الْمُسْلِمینَ

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না। 


আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না ।তোমার মর্যাদার উসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না । হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।


১৫ তম রোজার দোয়া

الیوم الخامس عشر : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ طاعَةَ الْخاشِعینَ، وَاشْرَحْ فیهِ صَدْری بِاِنابَةِ الُْمخْبِتینَ، بِاَمانِکَ یا اَمانَ الْخائِفینَ

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তৌফিক দাও ।


তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের উসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে খোদাভীরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত কর । হে খোদাভীরু মুত্তাকীদের আশ্রয়দাতা ।


১৬ তম রোজার দোয়া

الیوم السّادس عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّقْنی فیهِ لِمُوافَقَةِ الاَْبْرارِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مُرافَقَةَ الاَْشْرارِ، وَآوِنی فیهِ بِرَحْمَتِکَ اِلى دارِ الْقَـرارِ، بِاِلهِیَّتِکَ یا اِلـهَ الْعالَمینَ

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সৎবান্দাদের সাহচর্য লাভের তৌফিক দাও।


আমাকে মন্দ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমার খোদায়ীত্বের শপথ করে বলছি, আমাকে তোমার রহমতের বেহেশতে স্থান দাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক।


১৭ তম রোজার দোয়া

الیوم السّابع عشر : اَللّـهُمَّ اهْدِنی فیهِ لِصالِحِ الاَْعْمالِ، وَاقْضِ لی فیهِ الْحَوائِجَ وَالاْمالَ، یا مَنْ لا یَحْتاجُ اِلَى التَّفْسیرِ وَالسُّؤالِ، یا عالِماً بِما فی صُدُورِ الْعالَمینَ، صَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرینَ

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে সৎকাজের দিকে পরিচালিত কর। হে মহান সত্ত্বা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার ও ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না ।


আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে দাও। হে তাবত দুনিয়ার রহস্যজ্ঞানী! হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর রহমত বষর্ণ কর।


১৮ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن عشر : اَللّـهُمَّ نَبِّهْنی فیهِ لِبَرَکاتِ اَسْحارِهِ، وَنَوِّرْ فیهِ قَلْبی بِضیاءِ اَنْوارِهِ، وَخُذْ بِکُلِّ اَعْضائی اِلَى اتِّباعِ آثارِهِ، بِنُورِکَ یا مُنَوِّرَ قُلُوبِ الْعارِفینَ

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে সেহরীর বরকতের উসিলায় সচেতন ও জাগ্রত করে তোল। সেহরীর নূরের ঔজ্জ্বল্যে আমার অন্তরকে আলোকিত করে দাও।


তোমার নূরের উসিলায় আমার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তোমার নূরের প্রভাব বিকশিত কর। হে সাধকদের অন্তর আলোকিতকারী!


১৯ তম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ فیهِ حَظّی مِنْ بَرَکاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبیلی اِلى خَیْراتِهِ، وَلا تَحْرِمْنی قَبُولَ حَسَناتِهِ، یا هادِیاً اِلَى الْحَقِّ الْمُبینِ

হে আল্লাহ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও।

এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে স্পষ্ট সত্যের দিকে পথো নির্দেশকারী।


২০ তম রোজার দোয়া

الیوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لی فیهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّی فیهِ اَبْوابَ النّیرانِ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، یا مُنْزِلَ السَّکینَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও।


আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।


২১ তম রোজার দোয়া

الیوم الحادی والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ دَلیلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّیْطانِ فیهِ عَلَیَّ سَبیلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقیلاً، یا قاضِیَ حَوائِجِ الطّالِبینَ

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী ।


২২ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّانی والعشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لى فیهِ اَبْوابَ فَضْلِکَ، وَاَنْزِلْ عَلَیَّ فیهِ بَرَکاتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِمُوجِباتِ مَرْضاتِکَ، وَاَسْکِنّی فیهِ بُحْبُوحاتِ جَنّاتِکَ، یا مُجیبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرّینَ

হে আল্লাহ ! আজ তোমার করুণা ও রহমতের দরজা আমার সামনে খুলে দাও এবং বরকত নাজিল কর । 


আমাকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দাও। তোমার বেহেশতের বাগানের মাঝে আমাকে স্থান করে দাও। হে অসহায়দের দোয়া কবুলকারী।


২৩ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّالث والعشرون : اَللّـهُمَّ اغْسِلْنی فیهِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَطَهِّرْنی فیهِ مِنَ الْعُیُوبِ، وَامْتَحِنْ قَلْبی فیهِ بِتَقْوَى الْقُلُوبِ، یا مُقیلَ عَثَراتِ الْمُذْنِبینَ

হে আল্লাহ ! আমার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দাও।


আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তাকওয়া ও খোদাভীতির মাধ্যমে আমার অন্তরকে সকল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।


২৪ তম রোজার দোয়া

الیوم الرّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ اِنّی اَسْأَلُکَ فیهِ ما یُرْضیکَ، وَاَعُوذُبِکَ مِمّا یُؤْذیکَ، وَاَسْأَلُکَ التَّوْفیقَ فیهِ لاَِنْ اُطیعَکَ وَلا اَعْصیْکَ، یا جَوادَ السّائِلینَ

হে আল্লাহ ! আজ তোমার কাছে ঐসব আবেদন করছি যার মধ্যে তোমার সন্তুষ্টি রয়েছে। যা কিছু তোমার কাছে অপছন্দনীয় তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমারই আনুগত্য করার এবং তোমার নাফরমানী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দাও। হে প্রার্থীদের প্রতি দানশীল।


২৫ তম রোজার দোয়া

الیوم الخامس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مُحِبَّاً لاَِوْلِیائِکَ، وَمُعادِیاً لاَِعْدائِکَ، مُسْتَنّاً بِسُنَّةِ خاتَمِ اَنْبِیائِکَ، یا عاصِمَ قُلُوبِ النَّبِیّینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার বন্ধুদের বন্ধু এবং তোমার শত্রুদের শত্রু করে দাও। তোমার আখেরী নবীর সুন্নত ও পথ অনুযায়ী চলার তৌফিক আমাকে দান কর। হে নবীদের অন্তরের পবিত্রতা রক্ষাকারী।


২৬ তম রোজার দোয়া

الیوم السّادس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ سَعْیی فیهِ مَشْکُوراً، وَذَنْبی فیهِ مَغْفُوراً وَعَمَلی فیهِ مَقْبُولاً، وَعَیْبی فیهِ مَسْتُوراً، یا اَسْمَعَ السّامِعینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করে নাও। আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমার সব আমল কাজ কবুল করো এবং সব দোষ-ত্রু টি ঢেকে রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রোতা।


২৭ তম রোজার দোয়া

الیوم السّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ فَضْلَ لَیْلَةِ الْقَدْرِ، وَصَیِّرْ اُمُوری فیهِ مِنَ الْعُسْرِ اِلَى الْیُسْرِ، وَاقْبَلْ مَعاذیری، وَحُطَّ عَنّیِ الذَّنْبَ وَالْوِزْرَ، یا رَؤوفاً بِعِبادِهِ الصّالِحینَ

হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে শবেকদরের ফজিলত দান কর। আমার কাজ কর্মকে কঠিন থেকে সহজের দিকে নিয়ে যাও।


আমার অক্ষমতা কবুল কর এবং ক্ষমা করে দাও আমার সব অপরাধ। হে যোগ্য বান্দাদের প্রতি মেহেরবান।


২৮ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن والعشرون : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ حَظّی فیهِ مِنَ النَّوافِلِ، وَاَکْرِمْنی فیهِ بِاِحْضارِ الْمَسائِلِ، وَقَرِّبْ فیهِ وَسیلَتى اِلَیْکَ مِنْ بَیْنِ الْوَسائِلِ، یا مَنْ لا یَشْغَلُهُ اِلْحـاحُ الْمُلِحّینَ

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে নফল এবাদতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর।


তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা ! যাকে, অনুরোধকারীদের কোন আবেদন নিবেদন, ন্যায়বিচার থেকে টলাতে পারে না।


২৯ তম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع والعشرون : اَللّـهُمَّ غَشِّنی فیهِ بِالرَّحْمَةِ، وَارْزُقْنی فیهِ التَّوْفیقَ وَالْعِصْمَةَ، وَطَهِّرْ قَلْبی مِنْ غَیاهِبِ التُّهْمَةِ، یا رَحیماً بِعِبادِهِ الْمُؤْمِنینَ

হে আল্লাহ ! আজ আমাকে তোমার রহমত দিয়ে ঢেকে দাও। গুনাহ থেকে মুক্তিসহ আমাকে সাফল্য দান কর। আমার অন্তরকে মুক্ত কর অভিযোগ ও সন্দেহের কালিমা থেকে । হে ঈমানদার বান্দাদের প্রতি দয়াবান।


৩০ তম রোজার দোয়া

الیوم الثلاثون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامى فیهِ بِالشُّکْرِ وَالْقَبُولِ عَلى ما تَرْضاهُ وَیَرْضاهُ الرَّسُولُ، مُحْکَمَةً فُرُوعُهُ بِالاُْصُولِ، بِحَقِّ سَیِّدِنا مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرینَ، وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعالَمینَ

হে আল্লাহ ! তুমি ও তোমার রাসুল ঠিক যেমনিভাবে খুশি হবে তেমনি করে আমার রোজাকে পুরস্কৃত কর এবং কবুল করে নাও।


আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার পবিত্র বংশধরদের উসিলায় আমার সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে মূল এবাদতের সাথে যোগ করে শক্তিশালী কর। আর সব প্রশংসা ও স্তুতি জগতসমূহের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর।


সিয়াম পালন করা


ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হল সিয়াম। আর রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ।


সেজন্য রমাদান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। মহান আল্লাহ বলেন: সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করা।[সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]


সিয়াম পালনের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:


যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [সহীহ বুখারী : ২০১৪]


যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন ।[সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]


সাহরী খাওয়া


সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদীসে এসেছে: ‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না।


এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’[মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ]


সালাতুত তারাবীহ পড়া


সালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। 


হাদীসে এসেছে: ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’[সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]


তারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবে। তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত।


হাদীসে আছে: ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’[সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭, সহীহ]


ই‘তিকাফ করা


ই‘তিকাফ অর্থ অবস্থান করা। অর্থাৎ মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে সালাত, সিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইসতিগফার ও অন্যান্য ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে একাকী কিছু সময় যাপন করা।


এ ইবাদাতের এত মর্যাদা যে, প্রত্যেক রমাদানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদানের শেষ দশ দিন নিজে এবং তাঁর সাহাবীগণ ই‘তিকাফ করতেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: ‘‘প্রত্যেক রমাযানেই তিনি শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন।


কিন্তু জীবনের শেষ রমযানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন’’ । দশ দিন ই‘তেকাফ করা সুন্নাত।[সহীহ আলবুখারী : ২০৪৪]


লাইলাতুল কদর তালাশ করা


রমাদান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল-কুরআনের ঘোষণা: ‘‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’’[সূরা কদর :


৪] হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:‘‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদাত করবে তাকে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’[সহীহ আল-বুখারী : ৩৫]

এ রাত পাওয়াটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়।


এক হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন:‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমদানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন’’[সহীহ মুসলিম : ১১৭৫]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আল্লাহর নবী !


যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তবে কি বলব ?


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বলবেঃ ‘‘হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’[সুনান আত-তিরমিযী : ৩৫১৩]


ইফতার করা


সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা বিরাট ফজিলাতপূর্ণ আমল। কোন বিলম্ব না করা ।


কেননা হাদীসে এসেছে: ‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’[সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭, সহীহ]


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন :পিপাসা নিবারিত হল, শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হল।[সুনান আবূ-দাউদ: ২৩৫৯, সহীহ]


অপর বর্ণনায় যে এসেছে-“হে আল্লাহ! তোমার জন্য রোযা রেখেছি, আর তোমারই রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।” এর সনদ দুর্বল। আমাদের উচিত সহীহ হাদীসের উপর আমল করা।[সুনান আবু দাউদ :২৩৫৮]


ইফতার করানো


অপরকে ইফতার করানো একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ। প্রতিদিন কমপক্ষে একজনকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা দরকার। কেননা হাদীসে এসেছে: ‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না’’[সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহীহ]


ফিতরাহ দেয়া


এ মাসে সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরাহ দেয়া আবশ্যক। ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায়ের পুর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন।[সহীহ আল-বুখারী :১৫০৩]


রমাদান মাসে যা করণীয় নয়


রমাদান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা দরকার, সেগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :


1. বিলম্বে ইফতার করা

2. সাহরী না খাওয়া

3. শেষের দশ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা

4. মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা

5. অপচয় ও অপব্যয় করা

6. তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা

7. জামা‘আতের সাথে ফরয সালাত আদায়ে অলসতা করা।


8. বেশি বেশি খাওয়া

9. রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাত করা

10. বেশি বেশি ঘুমানো

11. সংকট তৈরি করা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য

12. অশ্লীল ছবি, নাটক দেখা

13. বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা

14. বিদ‘আত করা

15. দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা


আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে রমজানের রোজা রাখার তউফিক দান করুণ। এবং রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাত দিয়ে মালামাল করুণ ! আমিন 


Read more:

উহুদ যুদ্ধের কাহিনী

বদর যুদ্ধের কাহিনী

দীন কাকে বলে


ভূমিকা : লিখতে গিয়ে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং কোন সাজেশন এর প্রয়োজন হলে আমাকে ইমেইল এর মধ্যেমে জানিয়ে দিবেন !

প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ।

ভালো লাগলে দয়াকরে শেয়ার করবেন ।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

Please Do,not Share Any Spam Links

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post